
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ইয়াছমিন আক্তার নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডস্থ মুসলিমপাড়ায় ভাড়া বাসা থেকে ঐ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।






তবে মৃত ইয়াছমিন আত্মহত্যা করেছেন নাকি হত্যার স্বীকার হয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মৃত ইয়াছমিন গাড়িচালক মোয়াজ্জেম হোসেনের স্ত্রী। তারা দু’জনেরই দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছিল। স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রতিদিন একজন ব্যক্তি ঐ ঘরে আসতো বলে জানান স্থানীয়রা।
চকরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, সন্ধ্যায় মুসলিম পাড়ার কয়েকজন ব্যক্তি পুলিশকে জানান, ভাড়া বাসায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছেন ইয়াছমিন। পুলিশ ঐ ঘর তল্লাশি করে সিগারেটের অংশ বিশেষ পায়।






এতে সন্দেহ হলে বাসা লাগোয়া কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে আলাপ করে জানতে পারি, স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রতিদিন একজন ব্যক্তি বিকেলে ঐ ঘরে আসতো। বৃহস্পতিবারও সন্ধ্যায় চলে যায় লোকটি। এরপর উৎসুক কয়েকজন নারী ঐ বাসায় গেলে ঝুলন্ত অবস্থায় ইয়ামিনের লাশ দেখতে পান।






স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে ওসি আরো বলেন, নিহত ইয়াছমিনের প্রথম স্বামীর ঘরে আট বছর বয়সী এক সন্তান থাকলেও সে থাকতো বাবার ঘরে। গাড়িচালক মোয়াজ্জেম ভাড়া মেরে কয়েকদিন প্রথম স্ত্রী ইয়াসমিনের সঙ্গে থাকতো। ঘটনার সময় মোয়াজ্জেম ছিল ঢাকায়।ঐ ব্যক্তির আনাগোনায় ইয়াছমিনে আত্মহত্যা না হত্যা হয়েছে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা।






ইয়াছমিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এসময় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তফিকুল আলম।
পুলিশের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে সন্দেহ প্রকাশ করলেও তদন্তে বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে। ঘটনাটি সিআইডিকে জানানো হয়েছে বলে জানান ওসি মো. ওসমান গণি।
Leave a Reply